সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:৫৯ অপরাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
চীনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাতকে ‘ডাইরেক্ট’ এবং ফলপ্রসূ বলে উল্লেখ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন। তার বেইজিং সফর শেষে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মধ্যে সম্পর্কে অগ্রগতি হচ্ছে। চীনের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে চার দিনের সফরে ১০ ঘন্টা দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন ইয়েলেন। এতে দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক স্থিতিশীল করতে সহায়ক হয়েছে বলে তার দাবি। সফর শেষে রোববার তিনি বেইজিং ত্যাগ করেন। এর আগে সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানেই এসব তথ্য উপস্থাপন করেন ইয়েলেন। বেইজিংয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বড় রকমের মতবিরোধ আছে। এক্ষেত্রে তিনি অন্যায় অর্থনৈতিক অনুশীলনে তার সরকারের উদ্বেগের বিষয় তুলে ধরেন এবং সম্প্রতি বেইজিং যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে যে শাস্তিমুলক পদক্ষেপ নিয়েছে, তারও উল্লেখ করেন। জ্যানেট ইয়েলেন বলেন, তা সত্ত্বেও প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং আমি যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার সম্পর্ককে বৃহৎ শক্তির লড়াই হিসেবে দেখি না।
আমরা বিশ্বাস করি আমাদের দুই দেশের উন্নতির জন্যই বিশ্ব যথেষ্ট বড়।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্ককে মেরামতের জন্য ওয়াশিংটনের সর্বশেষ প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হয় জ্যানেট ইয়েলেনের চার দিনের এই সফরকে। এই সম্পর্ক তাইওয়ান ইস্যু থেকে শুরু করে প্রযুক্তি পর্যন্ত বিভিন্ন সমস্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাতে দুই দেশের শত্রুতা বেড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বিভিন্ন কোম্পানি ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক। জ্যানেট ইয়েলেনের আগে গত মাসে বেইজিং সফর করেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। এ মাসে আবার চীন সফরে আসার কথা রয়েছে বাইডেন প্রশাসনের জলবায়ু বিষয়ক দূত জন কেরির। দিল্লিতে সেপ্টেম্বরে বসছে গ্রুপ অব ২০ এর সামিট। আবার নভেম্বরে হওয়ার কথা এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কোঅপারেশনের সম্মেলন। এই দুটি সামিটে প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সাক্ষাত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এ লক্ষ্যেই কূটনৈতিক তৎপরতা চলছে।
ভয়েস/জেইউ।